দ্বাদশ শ্রেণিতে অটো প্রমোশন দিচ্ছে সারাদেশের কলেজগুলো
করোনার জেরে পঠন-পাঠন তছনছ হয়ে যাওয়ায় দ্বাদশ শ্রেণিতে অটো প্রমোশন দিচ্ছে সারাদেশের কলেজগুলো। শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী, বছরের মধ্য এপ্রিল থেকে মে মাসে প্রথম বর্ষ সমাপনী পরীক্ষা দিয়ে একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু এবার করোনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় কলেজগুলোতে প্রথম বর্ষ সমাপনী পরীক্ষা হয়নি। পরীক্ষা ছাড়াই একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ‘প্রমোটেড’ দেখানো হয়েছে।
একাধিক কলেজ শিক্ষক জানিয়েছেন, স্বাভাবিক সময়ে শিক্ষাপঞ্জি মেনে একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে উত্তীর্ণের জন্য পরীক্ষা নেয়া হতো। এবার করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পরীক্ষা হয়নি। এর ফলে অটো প্রমোশন দিয়ে শিক্ষাবর্ষ বহাল রাখা হচ্ছে। কিন্তু অধিকাংশ শিক্ষক এই অটো প্রমোশনের পক্ষে নন। তারা মনে করেন, ‘নামকাওয়াস্তে’ হলেও পরীক্ষাটি নেয়া প্রয়োজন ছিল।
এর আগে প্রাথমিকের প্রথম সাময়িক পরীক্ষা, মাধ্যমিক স্কুলের অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত হয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষা কবে হবে সেটির দিনক্ষণ এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
এরকম পরিস্থিতিতে শিক্ষা বিশ্লেষকদের মধ্যে কেউ বলেছেন, অটো প্রমোশন দিয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবর্ষ ঠিক রাখা হোক। কেউ বলেছেন, সিলেবাস ছোট করে পরীক্ষা নেয়া হোক। আবার কেউ বলেছেন, শিক্ষাবর্ষ বাড়িয়ে পুরো সিলেবাস পড়িয়ে তবেই পরীক্ষা নেয়া হোক। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয় এখনো কিছু বলছে না। এরই মধ্যে কলেজগুলোতে একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে ‘অটো প্রমোশন’ দেয়া শুরু হয়েছে। করোনার কারণে এই শ্রেণিতেই প্রথম অটো প্রমোশন দেয়া হলো।
জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকই হচ্ছে ‘ফরমাল’ পরীক্ষা। এর বাইরে যে পরীক্ষা হয় সেগুলো অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা। সেসব পরীক্ষা কীভাবে হবে তা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওপরই নির্ভর করে। তারপরও বিষয়টি নিয়ে ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি।
যোগাযোগ করা হলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, এটাকে ‘অটো প্রমোশন’ বলা যাবে না। বছরজুড়ে শিক্ষার্থীদের নানাভাবে মূল্যায়ন করেই দ্বাদশ শ্রেণিতে প্রমোশন দেয়া হচ্ছে। এই মূল্যায়ন কিংবা প্রমোশনে শিক্ষার্থীদের পারফরম্যান্স বিবেচনা করা হয়েছে। তিনি মনে করেন, এই পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীরা দ্বাদশ শ্রেণিতে গেলেও তাদের কোনো সমস্যা হবে না।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জের বাহুবলের আলিফ সোবহান চৌধুরী সরকারি কলেজের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রভাষক আইয়ুব আলী পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন, পরীক্ষা না নিলে মূল্যায়ন হবে কী করে? করোনার কারণে গত তিন মাস কলেজ বন্ধ।
এ অবস্থায় দ্বাদশ শ্রেণিতে প্রমোশন পাওয়া শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা আয়ত্তে আনতে কষ্ট হবে। তার মতে, অটো প্রমোশনের আগে ‘নামকাওয়াস্তে’ একটা পরীক্ষা নেয়ার দরকার ছিল। তাতে শিক্ষার্থীরা একাদশ শ্রেণিতে যা পড়েছে তার পর্যালোচনা করা যেত। এরপর দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনার ধারাবাহিকতা থাকত। কিন্তু প্রকৃতির কাছে সবাই অসহায়।সূত্র ভোরের কাগজ।
একাধিক কলেজ শিক্ষক জানিয়েছেন, স্বাভাবিক সময়ে শিক্ষাপঞ্জি মেনে একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে উত্তীর্ণের জন্য পরীক্ষা নেয়া হতো। এবার করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পরীক্ষা হয়নি। এর ফলে অটো প্রমোশন দিয়ে শিক্ষাবর্ষ বহাল রাখা হচ্ছে। কিন্তু অধিকাংশ শিক্ষক এই অটো প্রমোশনের পক্ষে নন। তারা মনে করেন, ‘নামকাওয়াস্তে’ হলেও পরীক্ষাটি নেয়া প্রয়োজন ছিল।
এর আগে প্রাথমিকের প্রথম সাময়িক পরীক্ষা, মাধ্যমিক স্কুলের অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত হয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষা কবে হবে সেটির দিনক্ষণ এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
Inter 2nd Year |
এরকম পরিস্থিতিতে শিক্ষা বিশ্লেষকদের মধ্যে কেউ বলেছেন, অটো প্রমোশন দিয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবর্ষ ঠিক রাখা হোক। কেউ বলেছেন, সিলেবাস ছোট করে পরীক্ষা নেয়া হোক। আবার কেউ বলেছেন, শিক্ষাবর্ষ বাড়িয়ে পুরো সিলেবাস পড়িয়ে তবেই পরীক্ষা নেয়া হোক। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয় এখনো কিছু বলছে না। এরই মধ্যে কলেজগুলোতে একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে ‘অটো প্রমোশন’ দেয়া শুরু হয়েছে। করোনার কারণে এই শ্রেণিতেই প্রথম অটো প্রমোশন দেয়া হলো।
জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকই হচ্ছে ‘ফরমাল’ পরীক্ষা। এর বাইরে যে পরীক্ষা হয় সেগুলো অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা। সেসব পরীক্ষা কীভাবে হবে তা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওপরই নির্ভর করে। তারপরও বিষয়টি নিয়ে ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি।
যোগাযোগ করা হলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, এটাকে ‘অটো প্রমোশন’ বলা যাবে না। বছরজুড়ে শিক্ষার্থীদের নানাভাবে মূল্যায়ন করেই দ্বাদশ শ্রেণিতে প্রমোশন দেয়া হচ্ছে। এই মূল্যায়ন কিংবা প্রমোশনে শিক্ষার্থীদের পারফরম্যান্স বিবেচনা করা হয়েছে। তিনি মনে করেন, এই পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীরা দ্বাদশ শ্রেণিতে গেলেও তাদের কোনো সমস্যা হবে না।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জের বাহুবলের আলিফ সোবহান চৌধুরী সরকারি কলেজের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রভাষক আইয়ুব আলী পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন, পরীক্ষা না নিলে মূল্যায়ন হবে কী করে? করোনার কারণে গত তিন মাস কলেজ বন্ধ।
এ অবস্থায় দ্বাদশ শ্রেণিতে প্রমোশন পাওয়া শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা আয়ত্তে আনতে কষ্ট হবে। তার মতে, অটো প্রমোশনের আগে ‘নামকাওয়াস্তে’ একটা পরীক্ষা নেয়ার দরকার ছিল। তাতে শিক্ষার্থীরা একাদশ শ্রেণিতে যা পড়েছে তার পর্যালোচনা করা যেত। এরপর দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনার ধারাবাহিকতা থাকত। কিন্তু প্রকৃতির কাছে সবাই অসহায়।সূত্র ভোরের কাগজ।
No comments